শেষ মুহূর্তে গোল করে জয়টা এক প্রকার অভ্যাসেই পরিণত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল না করে যেন রিয়ালের জয় পূর্ণতা পায় না। ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও সমর্থকদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শঙ্কায় রেখে ৮৯তম মিনিটের গোলে জয় তুলে নিয়েছে অল হোয়াইটসরা।
প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মদ্রিচের পেনাল্টি মিস। এরপরেই গোল হজম করে বসে শিরোপার অন্যতম দাবিদার দলটি। পরে এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করে ম্যাচে সমতা আর অন্তিম মুহূর্তের গোলে জয়। এমন এক নাটকীয় ম্যাচে জয় নিয়ে গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয়ের দেখা পেল ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ সি থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়ালের সঙ্গী ইটালিয়ান ক্লাব নাপোলি। এছাড়া তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে যাচ্ছে ব্রাগা আর চতুর্থ হয়েছে ইউনিয়ন বার্লিন।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্লিন। জার্মান ফরোয়ার্ড কেভিন বেরেন্সের ভলি ব্যর্থ করে দেন রিয়ালের গোলপ্রহরী কেপা আরিজাবালাগা। এদিকে, সুযোগ আসে রিয়ালের সামনেও। ১০ মিনিটের মাথায় বেলিংহামের দারুণ শট আটকে দেন বার্লিন মিডফিল্ডার। এরপর বারে লেগে প্রতিহত হয় রিয়াল স্ট্রাইকার হোসেলুর হেড।
আধিপত্য ধরে রাখা রিয়ালের সামনে নিশ্চিত গলের সুযোগ আসে প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে। বার্লিনের বক্সে তাদের ডিফেন্ডার গিয়োগো লেইতের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে সোজাসুজি শট নেন মদ্রিচ। বল প্রতিহত হয় আগেই এক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষকের পায়ের স্পর্শে।
মদ্রিচের পেনাল্টি মিসের পরের মুহূর্তেই বার্লিন গোলরক্ষকের চৌকস সিদ্ধান্তে দারুণ এক গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পড়ে যান রেয়াল ডিফেন্ডার ডাভিড আলাবা। ভেতরে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কেভিন ভলান্ড। প্রথমার্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্লিন।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে রিয়াল, তবে এবারও বার্লিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক রোনাউ। রদ্রিগোর দুর্দান্ত হেডার ফেরান তিনি। ৬১তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন হোসেলু। রদ্রিগোর ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান ৩৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ১০ মিনিট পর আবারও দুর্দান্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে জোরাল শটে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন বলদি হিসেবে নামা চেক মিডফিল্ডার অ্যালেক্স ক্রাল। যখন মনে হচ্ছিল ড্র-ই ম্যাচের শেষ পরিণতি ঠিক তখনই বেলিংহামের পাস ধরে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদে রিয়ালকে জয় এনে দানি সেবায়োস। আর তাতেই ৮৯তম মিনিটে জয় নিশ্চিত হয় স্প্যানিশ জায়ান্টদের। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
