সময়ের জনমাধ্যম

শিক্ষার্থী নির্যাতনে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইবি’র তদন্ত কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তাবাসসুমকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমবার মীর মোশাররফ একাডেমিক ভবনে অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের অফিস কক্ষে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রায় চার ঘণ্টা যাবত জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, আমরা অভিযুক্তদের সাথে কথা বলেছি। তাদের সাথে যা করা দরকার আমরা করে যাচ্ছি। তদন্ত কমিটির কাজ হলো তদন্ত সম্পাদনের এবং এটি বাইরে প্রকাশ করার কোনো অনুমতি না থাকায় তদন্ত করার মাধ্যমে কী পেলাম সেটি জনম্মুখে বলা যাচ্ছে না। তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে আমরা অনেক কাজ করে ফেলেছি। গতকালও আমরা সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাজ করেছিলাম। এখন এখানে কে অভিযুক্ত সেটি তদন্ত শেষেই বলতে পারবো।

হলের সিসিটিভির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হল প্রভোস্টকে বলা হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ আমাদের কাছে সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু এখনো উনারা দিতে পারেনি। তবে উনারা আইসিটি সেল থেকে টেকনিশিয়ানদের এনে দেখিয়েছেন। কিছু ডিভাইস প্রয়োজন সেখানে যা কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে এবং দুয়েকদিনের মধ্যে এটি চলেও আসবে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টায় আছি।

অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, প্রথমে আমার সাথে একবার কথা হয়েছে তারপর আমার থেকে চার পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যে রিপোর্টটি আসবে বা স্যার ম্যাডামরা যে রিপোর্টটি দিবেন সেখানে সত্যিটাইতো বের হয়ে আসবে। সেখান থেকেই সবকিছু জানতে পারবেন। 

আরেক অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমি এখন কিছুই বলতে পারবো না তদন্ত শেষে আপনারা সবকিছুই জানতে পারবেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে ফুলপরি খাতুন নামে নবীন এক ছাত্রীকে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা র‍্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তরা পাল্টাপাল্টি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে বিচার দাবি করলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দীন খান (সদস্য সচিব), প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা (সদস্য), খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী (সদস্য) এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম (সদস্য)।