সময়ের জনমাধ্যম

লেবাননের আক্রমণ বনাম বাংলাদেশের রক্ষণ

বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ’। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ অতিথি দল লেবাননের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জামাল-জিকোরা। মাঠের লড়াইয়েও নিজেদের সেরাটা নিঙরে দেয়ার লক্ষ্য ফুটবলারদের। তবে বাস্তবতার বিচারে লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটিতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের ফুটবল সুদিন হারিয়েছে অনেক আগেই। প্রতিপক্ষ লেবানন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৯৯তম স্থানে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২তম স্থানে। ৯৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের প্রত্যাশা করাটা বাড়াবাড়িই। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও মানছেন সে কথা। ম্যাচটির আগে বাংলাদেশ কোচের ভাষ্য, ‘শতভাগ দিয়ে আমরা লড়াই করব, সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। লেবানন খুব শক্তিশালী দল। ওরা চাইবে ৩ পয়েন্ট পেতে। তবে আমরা অন্তত ১টি পয়েন্টের জন্য লড়ব।’

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও কোচের দেখানো পথে হাঁটছেন। তিনি জানান, ‘আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। ভালো অনুশীলন করেছি। লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন, তবে আমরা সে পরীক্ষায় পাস করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জয়, তবে সেটি না হলেও অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই।’

লেবানন ভারতে এসেছে অনেক আগেই। গত ১২ দিনে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ৪টি ম্যাচ খেলেছে। স্বভাবতই ফুটবলারদের ক্লান্তি থাকবে, আর সে সুযোগটাই নিতে চায় বাংলাদেশ। তবে এরপরও লেবানন ট্যাকটিক্যালি বেশ ভালো দল। তাদের ফুটবলাররা শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও উচ্চতায় এগিয়ে থাকায় তাদের সঙ্গে টক্কর দেওয়া কঠিনই বাংলাদেশের জন্য। গতিদায়ক ফুটবল ও
উইং দিয়ে আক্রমণে উঠেন লেবাননের ফরোয়ার্ডরা। সেটি ঠেকাতে মিডিয়াম লো ব্লক কৌশল ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। এতে রক্ষণ ঠিক রেখে দ্রুত প্রতিআক্রমণও করতে পারবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

কঠিন এই ম্যাচে পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরছেন সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ। কম্বোডিয়া ম্যাচে পাওয়া তারিক কাজীর লাল কার্ড এই টুর্নামেন্টে প্রযোজ্য না হওয়ায় থাকছেন তিনিও। ফলে একাদশ সাজাতে খুব একটা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না বাংলাদেশ কোচকে।

সাফে এবার ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে লেবানন ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভূটান ও মালদ্বীপ। সাফে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানটাও নড়বড়ে। ২০০৩ সালে নিজেদের ইতিহাসের একমাত্র সাফ শিরোপা জিতেছিলো লাল-সবুজরা। ১৯৯৯ ও ২০০৫ আসরে ফাইনাল খেললেও হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর সবশেষ পাঁচ আসরের সবকটির প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা সেই ব্যর্থতার জাল ছিড়তে পারেন কি না সেটিই দেখার অপেক্ষা।