সময়ের জনমাধ্যম

রাবিতে ফোকলোর বিভাগের অনুষ্ঠানে হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের অনুষ্ঠানে হামলা ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রওশন জাহিদ, ড. মোস্তাফা তরিকুল আহসান, ড. মোবাররা সিদ্দিকা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. এস.এম একরাম-উল্লাহ। মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধন থেকে বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি ফোকলোর বিভাগের ইতিহাসে কলঙ্কিত একটি দিন। যেসব দুষ্কৃতিকারী আমাদের অনুষ্ঠানে হামলা করেছে  সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু শিক্ষার্থী নয় তারা আমাদের শিক্ষকদের উপরও হামলা করেছে। ফোকলোর বিভাগের সাথে যা ঘটেছে এরপর আরেকটা বিভাগের সাথে যেন ঘটতে না পারে সে ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে করতে হবে।

ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম কণকের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেয়ালে পিট ঠেকেছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। তিনি এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানান। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর মতো নিকৃষ্ট কাজ আর কিছু হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, যারা হামলা করেছে তারা অবশ্যই কোনভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি আছে বলেই এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছে। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনলে তারা আগামীতে আর এমন কিছু করার সাহস পাবে না।
 
মানববন্ধনের সমাপনি বক্তব্যে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই। এই সুন্দর পরিবেশ কিছু কুচক্রী মহল নষ্ট করতে চায় কিন্তু আমর সেটা হতে দেব না। আমরা তাদের সনাক্ত করেছি। তাদের মূল হোতাকে গ্রেফতার করে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

শনিবার ফোকলোর বিভাগের প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান চলাকালে কিছু দুষ্কৃতকারী সেখানে হামলা করে। তারা চেয়ার ছুঁড়ে ও মেয়েদের লাঞ্ছিত করে। বিভাগের শিক্ষকদের সাথেও তারা অশোভন আচরণ করে। এ ঘটনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা দু’জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে।