সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প প্রস্তাবনার অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৯টায় উল্লাপাড়া স্টেশনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথ অবরোধ করেন।
এতে ঢাকা ও রাজশাহীগামী সিল্কসিটি ও ধূমকেতু আন্তঃনগর ট্রেন আটকা পড়েছে, বন্ধ রয়েছে ঢাকা-রাজশাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। টানা আন্দোলনের ১৮তম দিনে শিক্ষার্থীরা রেল ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন।
সকাল দশটায় উল্লাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত ও ওসি রাকিবুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও সেখান থেকে সরেননি তারা।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন, সাবরিনা সালাত ও সুজনা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হয়নি। নির্মাণ কাজের ডিপিপি ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে সাতবার সংশোধিত হয়ে পাঁচশ’ কোটি টাকায় নামানো হয়। বিষয়টি গত ২৬ জুলাই একনেক সভায় ওঠার কথা ছিল।
শাহজাদপুরের বুড়িপোতা জিয়া মৌজায় সরকারিভাবে একশ একর জমির প্রস্তাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করার কথা। সরকারি এই সমস্ত জমির অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে কেউ না কেউ দখল করে আছে। তাদের পক্ষ নিয়ে চলনবিল সংগ্রাম কমিটির কতিপয় স্বার্থান্বেষী নেতা ও সংগঠক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়টি যাতে স্থাপিত না হয়, সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে অভিযোগ দেন।
তারা আরও বলেন, ওই চিঠির কারণে পরিবেশ উপদেষ্টা ডিপিপি একনেক বৈঠকে ওঠার সময় ভেটো দেন। পরবর্তী সময়ে কৌশলগত বিলম্ব শুরু করতে থাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদনের আগেই ঝুলে যায়। যে কারণে আমরা বাধ্য হয়ে গত আঠারো দিন থেকে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছি। সরকার ইতিবাচক সাড়া না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
রেলের স্টেশন মাস্টার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ৯টা ৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা আকস্মিক এসে উল্লাপাড়া স্টেশনে ঢাকা ঈশ্বরদী রেললাইনে অবরোধ করেন। এতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু আন্তঃনগর ট্রেনটি স্টেশনের পূর্ব দিকে জামতৈল স্টেশনে অবস্থান করে।
অন্যদিকে, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বিপরিতমুখী সিল্কসিটি আন্তঃনগর ট্রেন নিরাপত্তার কারণে পশ্চিম দিকের লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে অবস্থান করে। শিক্ষার্থীরা উল্লাপাড়া স্টেশনের ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান ও অবরোধ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।