যুদ্ধবিরতির জন্য দনবাস ছাড়বে না ইউক্রেন: জেলেনস্কি


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার রাশিয়ার কোনো প্রস্তাব ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘দনবাসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া হলে তা ভবিষ্যতে রাশিয়ার নতুন হামলার জন্য একটি পথ খুলে দেবে’।
শুক্রবার আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠকের ঠিক আগেই জেলেনস্কি এই মন্তব্য করলেন।
এর আগে ট্রাম্প শান্তি চুক্তিতে ‘কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের’ বিষয় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, পুতিন এই বৈঠকে দনবাসের সেই অংশটি দাবি করতে পারেন, যা এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়ান বাহিনী সম্প্রতি প্রায় দশ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। তবে তিনি এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন, মস্কোর এই অগ্রগতির লক্ষ্য হলো ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগেই এমন একটি ধারণা তৈরি করা যে ‘রাশিয়া অগ্রসর হচ্ছে আর ইউক্রেন হারছে’। জেলেনস্কি আরও বলেন, যারা এই হামলায় জড়িত, কিয়েভ তাদের ধ্বংস করে দেবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলেনস্কি দনবাস অঞ্চল ছেড়ে না দেওয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আজকে দনবাস ছেড়ে দেই তাহলে আমরা রাশিয়ানদের জন্য হামলার প্রস্তুতির সেতু উন্মোচন করে দেওয়া হবে।’ তিনি ইউক্রেনের সংবিধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভূখণ্ড বিনিময়ের জন্য গণভোটের প্রয়োজন হয়।
দনবাস অঞ্চল, যা লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক নিয়ে গঠিত, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া এর একাংশ দখল করে রেখেছে। বর্তমানে মস্কো লুহানস্কের প্রায় পুরোটা এবং দোনেৎস্কের ৭০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে।
মঙ্গলবার রাতের ভাষণে জেলেনস্কি আরও বলেন, মস্কো জাপোরিঝঝিয়া, পকরোভস্ক ও নভোপাভলভ এলাকায় নতুন করে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাবের পর কিয়েভসহ ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যে, মস্কো ইউক্রেনের সীমান্ত জোর করে নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের অন্তত ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজ মঙ্গলবার জানায় আলাস্কায় ট্রাম্প পুতিনের কথা শুনবেন এবং উভয় নেতা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তাদের সেরা ধারণাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।