যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট: সমন্বয়ের পাশাপাশি ইউক্রেনের নিরাপত্তার অংশীদার হবে


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ১০ দিনের মধ্যে কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়ে অগ্রগতি হবে।
মঙ্গলবার জেলেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের অংশীদারেরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি প্রকাশ করবেন এবং ধীরে ধীরে বিস্তারিত জানানো হবে। সবকিছু আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিবদ্ধ করা হবে।’
এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছেন, যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তিতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ঠিক কীভাবে সহায়তা করা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করেননি তিনি।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তারা শুধু সমন্বয়ই করবে না, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদারও হবে। আমি মনে করি এটি বড় একটি অগ্রগতি।’
তবে, ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খুব দ্রুত শান্তিচুক্তি হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। জেলেনস্কি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে গতকালের বৈঠক ছিল এখন পর্যন্ত তার ‘সেরা বৈঠক’।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে ‘যেকোনো ধাঁচে’ বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। আর ভূখণ্ড বিনিময়সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা হবে সরাসরি। তবে পুতিনের সঙ্গে তার সম্ভাব্য বৈঠকের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ভূখণ্ডসংক্রান্ত বিষয়টি আমার আর পুতিনের মধ্যে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে। এর মধ্যে থাকবে যুদ্ধবিমান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অস্ত্র। তিনি বলেন, ‘কার্যত আমাদের এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবিত প্যাকেজ আছে, যার অর্থমূল্য ৯০ বিলিয়ন ডলার।’
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের রপ্তানি চালু হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয় ড্রোন কিনবে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’