মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনা প্রধান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীরউত্তমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুর আড়াইটায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে (জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে) তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
এ কে খন্দকারের জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিন বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। জানাজার আগে এ কে খন্দকারের ছেলে জাফরুল করিম খন্দকার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
বাসস জানিয়েছে, জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী প্রয়াত এ কে খন্দকারের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
পরে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। এরপর বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাই পাস্টের মাধ্যমে এ কে খন্দকারের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান ৯৬ বছর বয়সী এ কে খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০১১ সালে এ কে খন্দকারকে স্বাধীনতা পদক দেয় সরকার।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। পরে এইচ এম এরশাদের আমলে পরিকল্পনামন্ত্রী হন। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে পাবনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এ কে খন্দকার।