সময়ের জনমাধ্যম

মায়া’র সমালোচক পুরস্কার, সেরা অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন

চলচ্চিত্র অঙ্গনে দুই দশকের পথচলা। অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বহু আগেই। তবে এবার পেলেন অনন্য স্বীকৃতি। সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার পেলেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। ২৬তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র’ বিভাগে সমালোচক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

Binge প্ল্যাটফর্মে মুক্তিপ্রাপ্ত রায়হান রাফি পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘মায়া’-তে ‘রাহাত’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। একটি আবেগনির্ভর, বাস্তবধর্মী চরিত্রে ইমনের অনবদ্য ও আত্মস্থ অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শক ও সমালোচক- দুই পক্ষকেই।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র জগতের গুণী ব্যক্তিত্বরা। এই বিভাগে জুরি ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী, চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তাদের রায়ে, মামনুন হাসান ইমন তার চরিত্রের গভীরতা, আবেগের সূক্ষ্মতা এবং বাস্তবতাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন নিখুঁতভাবে।

২০০৭ সালে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ইমনের। এরপর ২০০৮ সালে ‘এক বুক ভালোবাসা’ ছবিতে একক নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংয়েও তার জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৫ সালে তার অভিনীত ‘Tatly Tea’ বিজ্ঞাপনটি ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে স্থান পায়, যা ছিল একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

২০০৭ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে ‘দর্শক ভোটে শ্রেষ্ঠ মডেল’ হিসেবে তার প্রথম পুরস্কার অর্জন। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। একের পর এক সিনেমা, চরিত্র ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছেন নিজস্ব গতিতে।

তবে ‘মায়া’ যেন হয়ে রইল ইমনের অভিনয়জীবনের এক মোড় ঘোরানো কাজ। ‘রাহাত’ চরিত্রটি শুধুমাত্র একজন অভিনেতার দক্ষতা নয়, একজন মানুষের অনুভব, আত্মদ্বন্দ্ব ও সংকট তুলে ধরেছে পর্দায়।

এই পুরস্কার প্রসঙ্গে মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞ জুরি বোর্ডের প্রতি। এই স্বীকৃতি আমার দীর্ঘ অভিনয়জীবনের এক বড় অর্জন। ‘মায়া’ আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি কাজ। এই সম্মান আমাকে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

সমালোচকদের কাছ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে মামনুন হাসান ইমনের ক্যারিয়ারে একটি নতুন মাত্রা যোগ করল। একই সঙ্গে এটি প্রমাণ করে, ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেলে এক সময় যোগ্য স্বীকৃতি পাওয়া যায়।