সময়ের জনমাধ্যম

ভয়ঙ্কর হচ্ছে ডেঙ্গু, রাজধানীতে আক্রান্ত বেশি

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন ভয়াবহ হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ২৩৮ জন। যার মধ্যে মারা গেছেন ৪৫ জন। গেল এক সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটার মধ্যে নতুন করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও ৩৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বছর প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৯।

গত ১৮ জুন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০৫ জন। এর পরদিন ভর্তি হন ৩২২ জন। এরপর প্রতিদিনই রোগী বেড়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা সতর্ক করেছেন, এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের বছরগুলোর চেয়ে মারাত্মক হতে পারে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলছেন, বাংলাদেশে দুই যুগের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু রোগ দেখা দিয়েছে কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন করে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছেন ২৬৭ জন। বর্তমানে দেশে মোট এক হাজার ৪৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি হাসপাতালে আছেন এক হাজার ১১৭ জন।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলছেন, ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাই ঈদে ডেঙ্গু রোগীর চলাচল বেড়ে যাবে। আবার মশাও এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষার জন্য  দুটি পরামর্শ দেন মুশতাক হোসেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে ভ্রমণে বিরত থাকা। আর পরিবহনগুলোতে যথেষ্ট মাত্রায় মশা মারার ওষুধ ছিটানো।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গুর ধরন (ভেরিয়েন্ট) ডেন-২-এ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। নমুনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ রোগী ডেন-২-এ আক্রান্ত হয়েছেন আর ৩৮ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন ডেন-৩-এ।