তিন দিনের ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি ও নিচু এলাকায় চরম দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন মানুষ। পাহাড়ধসের আশঙ্কা ও জলাবদ্ধতায় সেখানকার হাজারো মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
টেকনাফের পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়া, সাবরাং, হ্নীলা ও শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধলাখের বেশি মানুষ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। ভারী বর্ষণের কারণে এসব এলাকার অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন সরেজমিনে টেকনাফের বিভিন্ন দুর্যোগাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরে পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়ার মায়মুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান চৌধুরী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আশ্রয়কেন্দ্রে বাসিন্দা খতিজা খাতুন বলেন, ‘পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চার সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি। এখানে থাকা-খাওয়ার কোনও সমস্যা হচ্ছে না। খাবারের মানও ভালো।’

দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনতে কাজ করছে সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি)। এর ১৩ নম্বর ইউনিটের ডেপুটি টিম লিডার কুলসুমা বেগম বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাইকিং করে পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনছি এবং সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত আছি।
দুর্যোগকালে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করে যাচ্ছে কমিউনিটি রেডিও নাফ ৯৯.২ এফএম। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র বার্তা সম্পাদক সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্যোগসংক্রান্ত সব আপডেট প্রচার করছি।’
জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন বলেন, ‘অতিবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উন্নতমানের খাবার ও চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যারা পাহাড়ের পাদদেশে ও বনবিভাগের জমিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন, তারা যদি নিরাপদ জায়গায় যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে তাদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পুনর্বিবেচনা করা হবে।’