সময়ের জনমাধ্যম

ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন কুবি’র ১৭ শিক্ষক

গবেষণায় নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের হাতে সম্মানী এবং সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপুমণি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ জ্ঞান সৃষ্টি ও চর্চা করা। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত জ্ঞান সৃষ্টি এবং চর্চার জায়গা হয়ে উঠুক। লাইব্রেরি যেন শুধু বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র না হয়। যে যত ভালো অবস্থানেই যান একজন ভালো মানুষ হতে হবে, শত ত্যাগে পাওয়া এই মাতৃভূমিকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। আমরা দেশ গড়ার স্লোগান শুনতে চাই।  

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা শুধু প্রযুক্তি বিজ্ঞান ব্যবহার করবেন না, এর উদ্ভাবকও হবেন। যে যে বিষয়ে পড়েন না কেন সকলকে ভাষা জ্ঞান, প্রযুক্তি জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। নীতি নির্ধারক এবং শিক্ষকরা এ বিষয়ে কাজ করবেন। শুধু সনদ না দক্ষতা তৈরি করতে কাজ করবেন।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গবেষণা কাজের জন্য এরকম একটি অ্যাওয়ার্ড অবশ্যই আমাকে আনন্দিত করেছে এবং সামনে আরও কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’ 

অন্যান্য যে শিক্ষকরা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদেরকেও অভিনন্দন জানান তিনি। এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান ড. বেলাল উদ্দিন। বলেন, আশা করি সামনেও এরকম উদ্যোগ চলমান থাকবে সেই সাথে আমরা যারা গবেষণার কাজে যুক্ত আছি তারা আরও ভালো ভালো কাজ বিশ্বিবদ্যালয়কে উপহার দিতে পারবো।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন শিক্ষকদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগত মানসম্পন্ন করার জন্য অ্যাকাডেমিক প্লানের দিকে দৃষ্টিপাত করছেন।

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কমকর্তা কমচারীরা।

নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা’র সঞ্চালনায় চলে পুরো আয়োজন।