বিনিয়োগ ইস্যুতে বাংলাদেশ ওয়াশিংটন না বেইজিংয়ের পথে হাঁটছে?


বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশে নতুন চিত্র দেখা যাচ্ছে—এবার যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সক্রিয় ও আগ্রহী অংশীদার। চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসেই চীন থেকে এসেছে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ। চীনের অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মংলা বন্দর আধুনিকায়নে ৪০ কোটি ডলারের ঋণ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে ৩৫০ মিলিয়নের বিনিয়োগ প্রস্তাব এর বড় উদাহরণ।
গত মার্চে চীন সফরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহা. ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে সুদের হার কমানো ও দ্রুত বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন—চীনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার মূল কারণ দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং তুলনামূলক কম রাজনৈতিক চাপ। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে শর্ত আরোপ করে, চীন সেখানে ব্যবসায়িক চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়।
তবে আশঙ্কা রয়েছে চীনের বিনিয়োগ ‘ঋণ ফাঁদ কূটনীতি’ নয় তো? এদিকে যুক্তরাষ্ট্রেরও রয়েছে স্পষ্ট বার্তা—তারা বলছেন চীনকেন্দ্রিক বিনিয়োগ বাংলাদেশকে ফেলতে পারে বিপদে। চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ। তবে সেই সুযোগ যেন ঝুঁকিতে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। সময়ই বলে দেবে—চীনের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা আমাদের জন্য উন্নতির সিঁড়ি, নাকি ঋণের বোঝা!