সময়ের জনমাধ্যম

বাবার মুক্তির জন্য বৈশ্বিক হস্তক্ষেপ চান ইমরানের ছেলেরা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই ছেলে সুলেমান খান ও কাসিম খান তাদের বাবার দীর্ঘ কারাবাস নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইমরান খানের মুক্তির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।

এই প্রথম ইমরান খানের ছেলেরা তাদের বাবার বন্দিত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন। যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে একটি আদালত তাদের সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বাবার সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দিয়েছিল, তবে তারা জানিয়েছেন এই ফোনকলগুলো খুবই অনিয়মিত এবং বর্তমানে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইনফ্লুয়েন্সার মারিও নাওফালের সাথে এক সাক্ষাৎকারে দুই ভাই তাদের নীরবতা ভেঙে কথা বলেন। কাসিম বলেন, ‘আমরা আইনি সব পথ চেষ্টা করেছি। আমরা এমন কোনো পথ বাদ দিইনি, যা দিয়ে মনে করেছি যে বাবাকে মুক্ত করা যেতে পারে। আমরা কখনোই ভাবিনি তিনি এতদিন জেলে থাকবেন। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাই আমাদের কাছে এখন কোনো বিকল্প পথ নেই। তাই আমরা এখন প্রকাশ্যে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি হোক। কারণ, বর্তমানে বাবা অমানবিক পরিবেশে আছেন। তাকে মৌলিক মানবাধিকার দেওয়া হচ্ছে না… সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই করা হচ্ছে না। আমরা চাই বিশ্বজুড়ে চাপ সৃষ্টি হোক।’

আইনি প্রক্রিয়া কাজ না করায় সুলেমান খান বলেন, ‘আমরা সবরকম আইনি পথ চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। সবকিছু একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এখন এসব নিয়ে খুব একটা কিছু দেখা যাচ্ছে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তা রিচার্ড গ্রেনেলের ইমরান খানের মুক্তির আহ্বান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুলেমান খান জানান, তারা তার সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ করেননি, তবে তার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।

ট্রাম্পের শিবিরকে কোনো বার্তা দিতে চান কি না—এই প্রশ্নে সুলেমান খান বলেন, ‘আমরা চাই, যেকোনো দেশ যারা বাকস্বাধীনতা ও প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা যেন আমাদের বাবার মুক্তির আহ্বানে শামিল হয়।’

কাসিম খানও একই কথা বলেন, ‘মানুষ যেন দেখে কী হচ্ছে এবং এগিয়ে আসে। আর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ট্রাম্পের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাই বা এমন কোনো উপায় খুঁজে বের করতে চাই, যাতে তিনি আমাদের সাহায্য করতে পারেন। কারণ শেষ পর্যন্ত আমরা শুধু চাই আমাদের বাবাকে মুক্ত করা হোক, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হোক এবং তার মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা হোক।’