পহেলগাম হামলার রেশ ধরে এবার বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ভারতের সংসদে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পর, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার জল চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, কংগ্রেস সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ছিল একটি “ভুল সিদ্ধান্ত”।
দুবে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই “সাপদের” আর জল সরবরাহ করা উচিত নয়, বরং তাদের “পিষে ফেলার” সময় এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন বিজিবি সংসদ সদস্য। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত করার ওপর জোর দেন তিনি।
তিস্তা পানি বন্টন যুক্তি প্রসঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্বের অবস্থানকে সমর্থন করে দুবে বলেন, যদি বাংলাদেশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ না করে, তবে ভারতের উচিত জল সরবরাহ বন্ধ করা।
পহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করে দুবে বলেন, “সন্ত্রাসীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।”
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত-বাংলাদেশ জল চুক্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পহেলগামের নারকীয় হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই, প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি ইতোমধ্যেই “১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করেছে এবং দেশটির সঙ্গে বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইসলামাবাদও এর প্রতিক্রিয়ায় পিছিয়ে থাকেনি। তারাও ভারতীয়দের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে এবং তাদের আকাশপথ ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।