গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগস্ট পরবর্তী সহিংসতা ঘটলেও বর্তমানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৪ সালের 'মানবাধিকার চর্চা সংক্রান্ত দেশভিত্তিক প্রতিবেদন' এ আরও বলা হয়েছে- মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কিছু উদ্বেগও রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে ছিল—বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচার গ্রেপ্তার, দমন-পীড়ন, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বড় ধরনের বিধিনিষেধ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, শ্রমিকদের ওপর সহিংসতা এবং শিশু শ্রমের প্রকট উপস্থিতি।
প্রতিবেদনে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আন্দোলন দমন, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে হাসিনা সরকারের আমলের সঙ্গে বর্তমান সময়ের অবস্থার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আগের সরকারের আমলে ব্যাপক হারে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ ছিল খুবই সীমিত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সহযোগিতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে।