সময়ের জনমাধ্যম

বাংলাদেশের বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।

সোমবার (২৪ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে তার ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নিই না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।

ভিসা নীতির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে যারা ক্ষুণ্ন করবে, তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নীতি প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা করে জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার থেকে বিরত রাখার মতো কাজ রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত যেকোনও ব্যবস্থার ব্যবহার হলে সেটিও এই নীতির মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনভাবে সবাইকে তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করার সক্ষমতাকে সমর্থন করা উচিত। আমরা মানবাধিকারের ওপর যেকোনো ধরনের বিধিনিষেধের বিরোধিতা করি।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এক কর্মীর কানাডায় আশ্রয় না পাওয়া এবং অতীতে বিএনপির রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।

ওই সাংবাদিক বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির সাথে যুক্ত একজন কর্মীর আশ্রয় আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এবং দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকরা বলছেন- বিএনপি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত হয়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে। সেসময় জাতীয় নির্বাচনের সময়ে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেছিল। এবারও বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের এগিয়ে আসার সাথে সাথে বিএনপিকে সহিংসতা শুরু করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন দল। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- ‘আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নিই না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।’