আচমকা শত্রুর আক্রমণ ঠেকাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চারপাশে সর্বদা সতর্ক থাকে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই দেহরক্ষী দলকে ‘মাস্কেটিয়ার’ বলা হয়। এই বাহিনীর প্রত্যেকেই রাশিয়ার ফেডারেল প্রটেকটিভ সার্ভিসের বিশেষ ইউনিটের সদস্য।
পুতিন প্রায়ই সঙ্গে রাখেন ‘চেগেট’ নামে এক ব্রিফকেস। বলা হয়, ‘চেগেটের আগের সংস্করণটি ছিল ভয়ানক, যা বিস্ফোরিত হলে আধা মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখত। তবে এখন চেগেট ব্যবহৃত হয় যোগাযোগের যন্ত্র হিসেবে। যার একটি বোতাম চাপলেই মস্কেটিয়াররা বুঝে যায়, পারমাণবিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে হবে দ্রুততম সময়ে।’
দেহরক্ষীদের বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রধান ভূমিকা রাখে তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি, ‘অপারেশনাল সাইকোলজি’, এবং যেকোনো আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
পুতিনের যাত্রাপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই তার গন্তব্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী বহন করে এসআর-১ ভেক্টর পিস্তল, জ্যামিং ডিভাইস এবং বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া অস্ত্র। বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাশিয়ার অরাস মোটরসের তৈরি বিলাসবহুল গাড়ি ‘অরাস সিনেট’ ব্যবহার করেন পুতিন।
খাবারের নিরাপত্তাও অত্যন্ত জটিল। খাবারের প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তদারকি করেন। টেবিলে আসার আগে খাবার পরীক্ষা করা হয়, বিদেশ ভ্রমণের সময় প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা লবণ, গোলমরিচ, টমেটো সস, পানি এবং ন্যাপকিনও বহন করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী বহন করে বিশেষ বুলেটপ্রুফ স্যুটকেস। তাদের মধ্যে একটি ‘পু স্যুটকেস’, যা বিদেশ ভ্রমণের সময় পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। মূলত, প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার কোনো তথ্য যাতে বাইরে প্রকাশ না পায়, তাই এই ব্যবস্থা রাখা হয়।