সময়ের জনমাধ্যম

প্রবাসী বাঙালি সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ ইস্যুতে ত্যক্ত করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাসী ও বাঙালি সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রকে জোর করে টেনে বাংলাদেশের জাতীয় ইস্যুতে ইনভলভ করার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’-এ গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যেকদিনই আমেরিকার একটা বক্তব্য থাকে। এর মূল কারণটা হলো আমাদের প্রবাসী বাঙালিরা। প্রবাসী সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রকে ত্যক্ত করে। তারা তাদের জোর করে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইনভলভ করার প্রচেষ্টা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপনারা টেনে টেনে আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে টেনে নিয়ে যান, আমরা কোনও দলের না। আমরা কোনও দলকে সাপোর্ট দেই না, সব দলই আমাদের কাছে সমান।’

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ধৃত করে ড. মোমেন বলেন, ‘তারপরও এই বাঙালি সাংবাদিকরা জোর করে টেনে আমাদের ডোমেস্টিক ইস্যুতে ইনভলভ করার চেষ্টা করে। এইজন্যে এইটা, এটা দুঃখজনক, এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের লোকেরাই আমাদের দেশ ধ্বংস করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার অপজিশন অন্যান্যদের জিজ্ঞেস করি যে দেশটা আমাদের আপনাদের সবার, আজকে আওয়ামী লীগ সরকারে আছে কালকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু দেশটা তো আপনারও।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। আমরা নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে যদি কোনো বন্ধু রাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।’

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন বিএনপির উদ্দেশ্যই ছিল জ্বালাও-পোড়াও। তারা হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে। সাধারণ মানুষের জানমাল নষ্ট করেছে।’ বিএনপিকে উপনিবেশিক আচরণ বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে আসারও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা কমছে, সহিংসতা বন্ধে সব দলকে ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। আমরা কাউকে নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না। সহিংসতা বন্ধে সব দলের ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’