শুধু প্যারিস নয় গোটা ফ্রান্স একরকম আনন্দে ভাসছে। গতকাল রাতে তারা পেয়েছে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতার উপলক্ষ্য। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। লুইস এনরিকের নেতৃত্বে অসাধারণ দলীয় পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছে পিএসজি। তবে এই বিজয়ের নায়ক হতে পারতেন এক ফরাসি সুপারস্টার। নামটা সবারই জানা, ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা কিলিয়ান এমবাপে।
এই মৌসুমেই প্যারিস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান এমবাপে। সে সময় ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল, কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢেলে তারকার মেলা বসিয়েও ইউরোপ সেরার মুকুট ছিল অধরা। তাঁর স্বপ্ন ছিল ইউরোপ সেরা হওয়ার। কিন্তু কী আশ্চর্য, যে মৌসুমে তিনি ক্লাব ছেড়ে গেলেন, সে মৌসুমেই পিএসজির ঘরে পরম আরাধ্য শিরোপা।

অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগবে, এমবাপে এখন কেমন অনুভব করছেন? গর্বিত? হতাশ? নাকি কিছুটা লজ্জিত? তিনি ছিলেন পিএসজির ঘরের ছেলে। তাঁকে ঘিরেই ক্লাবটি তৈরি করেছিল স্বপ্নের দল। অথচ, নেইমার-মেসির পর তিনিও ক্লাব ছেড়ে যান।
একজন ফুটবলারের অর্থ, শিরোপার যে আকাঙ্খা তার কাছে হয়তো দর্শকের আবেগ হার মানে। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের হৃদয়ে সাবেক ক্লাব ও ভক্তদের জন্য একটা জায়গা তো থেকেই যায়। পিএসজির শিরোপা জয়ের পরই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনন্দন জানান এমবাপে। বলেন, ‘অবশেষে বড় দিনটি এলো। পুরো ক্লাবের জন্য এটি পরিপূর্ণ ও প্রাপ্য জয়। অভিনন্দন!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অভিনন্দন’ লিখেছেন এমবাপে, কিন্তু বাস্তবে হয়তো আফসোসই হচ্ছে তার। যদি পিএসজি না ছাড়তেন।
এমবাপে যোগ দেয়ার পরও রিয়াল কাটিয়েছে হতাশার এক মৌসুম। ২ ৪ -২ ৫ মৌসুমে শিরোপাশুন্য লস ব্লাঙ্কোসরা। না লা লিগা, না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তাকে ফিরতে হয়েছে শুন্য ললাটে। ভক্তরা প্রশ্ন তুলছেন, পিএসজি ছেড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তো এমবাপে?
ভুলে গেলে চলবেনা এমবাপে শুধুই খেলোয়াড় নন – তিনি একজন চ্যাম্পিয়ন। আর চ্যাম্পিয়নদের গল্প কখনো এক মৌসুমে শেষ হয় না। ২০২৬-এর মৌসুমে কি এমবাপে পারবেন ভক্তদের আশা মেটাতে?