এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে হওয়ায় বড় আশায় বুক বেঁধেছিল ইন্টার মায়ামি। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে শেষ ষোলোতে গিয়ে তারা পড়েছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সামনে। পিএসজি মেসির সাবেক ক্লাব। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি মেসিদের, পিএসজির কাছে চার গোলে হেরে গেছে ইন্টার মায়ামি।
রোববার জর্জিয়ার আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ৬৫ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে যেন অসহায় আত্মসমর্পন করে মেসিরা। যেখানে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখায় পিএসজি। মেসি, জর্দি আলবা, লুইস সুয়ারেজ ও সার্জিও বুশকেটসকে নিয়ে দুর্বার লড়াইয়ের আশ্বাস দিলেও তাদের সামনে পেরে ওঠেনি মায়ামি। গত মাসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা প্যারিস সেন্ট জার্মেই কোনও পাত্তাই দেয়নি মায়ামিকে। লিওনেল মেসির দলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে পিএসজি। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মেসিদের হজম করতে হেয়েছে সবগুলো গোল।
২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়ার পর প্রথমবার সাবেকদের মুখোমুখি হন মেসি। শুরু থেকেই মেসিকে আটকে রাখার ছকে খেলতে থাকে তারা। ম্যাচে হোয়াও নেভেস করেছেন জোড়া গোল। আশরাফ হাকিমি করেন চতুর্থ গোল। এর আগে তাদের গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
খেলার ষষ্ঠ মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা গোল করে এগিয়ে যায়। ভিতিনহার ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বল দূরের পোস্টে দাঁড়িয়ে হেড করে জালে জড়ান নেভেস। ৩৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ব্রাডলি বারকোলার সঙ্গে বল বিনিময় করে নেভেসকে দিয়ে দ্বিতীয় গোল করান ফ্যাবিয়ান রুইজ।
খেলায় মায়ামির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে যায় মূলত প্রথমার্ধেই। তাদের বদলি খেলোয়াড় টমাস অ্যাভিলেস পিএসজির দেসির দুয়ের ক্রস থামাতে গিয়ে নিজের জালে বল জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে হাকিমি আরেকটি গোল করেন। তার প্রথম শট গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে পরের চেষ্টায় জালের নাগাল পায় বল।
৬০ মিনিট পর মায়ামি প্রথম শট নেয় গোলপোস্টে। জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা সহজে মেসির সেই প্রচেষ্টা রুখে দেন। পরে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের আরেকটি হেড থামান পিএসজি গোলকিপার।
পিএসজির কাছে চার গোল খাওয়া মেসির ক্যারিয়ারে এটি প্রথম নয়। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার জার্সিতে খেলার সময় ৪-০ গোলে হেরেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও ফ্লামেঙ্গোর শেষ ষোলোর লড়াই শেষে।
