পিএসজিকে ট্রেবল জিততে বড় অবদান রেখেছিলেন ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার। কিন্তু সেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ২৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। লুইস এনরিক তাকে সুপার কাপের দলে না রাখার পর মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের ঘোষণা দেন দোন্নারুমার। ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেন দোন্নারুমার। যদিও ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাকি।
শনিবার ফরাসি গোলকিপার লুকাস শেভালিয়েকে দলে নেওয়ার পর থেকেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে শেষমেষ নিজেই জানিয়ে দিলেন- বিদায় নেবেন।
সামাজিক মাধ্যমে দোন্নারুমা লিখেছেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কেউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমি আর দলের অংশ হতে পারব না এবং সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। আমি হতাশ ও নিরাশ।'
বুধবার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দোন্নারুমাকে বাদ দেওয়া খবরই ছিল আলোচনার তুঙ্গে। এনরিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'এ ধরনের সিদ্ধান্ত সবসময় কঠিন। দোন্নারুমা তার পজিশনের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, বরং তার থেকেও ভালো মানুষ। কিন্তু আমরা অন্য ধরনের গোলকিপারের প্রোফাইল খুঁজছিলাম। দলকে উন্নত করাই আমার লক্ষ্য, আর আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি।'
ইতালিয়ান সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে এনরিক পরে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে বলেন, 'এটি আমার সিদ্ধান্ত, ক্লাবেরও সিদ্ধান্ত। ক্লাব আমাকে সমর্থন করছে। এখন সবার জন্য সেরা সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।'
বিদায়ের আগে পিএসজি সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দোন্নারুমা লিখেছেন, 'আশা করি পার্ক দে প্রিন্সেসে সমর্থকদের চোখে চোখ রেখে বিদায় জানাতে পারব। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে জেনে রাখুন আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমার কাছে অমূল্য, যা আমি কখনও ভুলব না। এই ক্লাবের হয়ে খেলা ও এই শহরে বসবাস করা ছিল আমার জন্য এক বিশাল সম্মান।'
পিএসজি অধিনায়ক মার্কিনিয়োসও সতীর্থের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন, 'এটা সবসময়ই কঠিন। আমি এখানে ১২-১৩ বছর ধরে আছি, অনেক খেলোয়াড়কে যেতে দেখেছি। জীবন এমনই, ফুটবলও তেমন। একদিন আমিও চলে যাব। যদি দোন্নারুমা থেকে যায়, আমরা তাকে খোলা মনে স্বাগত জানাব। যদি চলে যায়, তবে ধন্যবাদ জানাব, কারণ গত মৌসুমে যা করেছে, তার জন্যই আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি এবং শিরোপা জিতেছি।'