ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং কাশ্মীর সংঘাতের প্রেক্ষাপটে শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রুবিও উভয় দেশকে উত্তেজনা প্রশমন এবং ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও জানান, ‘ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে এবং যেকোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে।’
একই দিনে মার্কো রুবিও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই আলোচনাতেও রুবিও পাকিস্তানকে ভারতবিরোধী অভিযান বন্ধ করে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানান।
জবাবে দার বলেন, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী এবং উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত, তবে এর শর্ত হচ্ছে—ভারতকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি স্পষ্ট সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ভারত উত্তেজনা বাড়ায়, তবে পাকিস্তান তার চেয়ে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘ফরওয়ার্ড এরিয়া’ বা অগ্রবর্তী স্থানে মোতায়েন করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কোরেশি শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সেনারা অগ্রবর্তী এলাকায় মোতায়েন হচ্ছে, যা স্পষ্টতই পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।’
ভারতের সেনাবাহিনী এ সময় ‘চূড়ান্ত প্রস্তুত অবস্থায়’ রয়েছে বলেও জানান কর্নেল কোরেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি শত্রুতামূলক পদক্ষেপের কার্যকর জবাব দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও দেব। তবে ভারত সংঘাত বাড়াতে চায় না, যদি পাকিস্তানও একই মনোভাব দেখায়।’
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলি, ড্রোন হামলা ও বিমান হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।