পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত দেশটিতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বাজাউরে, যেখানে ২১ জন মারা গেছেন এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, লোয়ার দিরে ৫ জন, ব্যাট্টাগ্রামে ৭ জন, এবং স্বাত ও সাংলায় ৪ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
গিলগিট-বালতিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মারা গেছেন ১০ জন। ঘিজারের খালথি ভ্যালিতে এক নারীসহ তিনজন নিহত এবং আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। একই জেলার ইয়াসিন থোই এলাকায় বন্যা বাড়িঘর, স্কুল এবং কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। কোহিস্তানে কারাকোরাম হাইওয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গিলগিট-বালতিস্তানের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও ভূমিধসের কারণে মারা গেছেন অন্তত ৮ জন এবং আহত হয়েছেন ২ জন। মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদ তহসিলে একই পরিবারের ৬ জন মারা গেছেন। ১৫ ও ১৬ আগস্ট এখানকার সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই বছরের বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ঘনত্ব বেড়ে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান।