পরমাণু যুদ্ধের মন্তব্যে চটেছেন ট্রাম্প, রাশিয়ার দিকে দুটি সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ


রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে ‘যথোপযুক্ত অঞ্চলে’ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার (১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে তিনি এই নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, ‘রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্যের ভিত্তিতে… আমি দুইটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি, এই মূর্খ ও উগ্র মন্তব্যগুলো যেন শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কথার গুরুত্ব অনেক এবং এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি এটা তার একটি উদাহরণ হবে না।’
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়ার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছেন, এবং আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।’
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার, যখন মেদভেদেভ ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন যে, মস্কোর কাছে সোভিয়েত আমলের শেষ মুহূর্তের পরমাণু হামলার সক্ষমতা এখনো রয়েছে। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে তার কথাবার্তা দেখে চলার আহ্বান জানান।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে অধিকতর রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো সাধারণত সব সময়ই প্রস্তুত থাকে এবং যেকোনো মুহূর্তে আঘাত হানতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী বা প্রতিরক্ষা দফতর থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে তিন ধরনের পারমাণবিক শক্তিচালিত ফাস্ট অ্যাটাক সাবমেরিন রয়েছে। ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিওউল্ফ-ক্লাস ও লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস। এসব সাবমেরিন পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র বহন করে। এগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস, নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস সাবমেরিন দূরপাল্লার আক্রমণ ও সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের জন্য ক্যালিবার এবং অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র ধারণ করে।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।