সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার ব্রেন্ডন টেলর। বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট দিয়ে আবারও সাদা পোশাকে মাঠে নামলেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইসিসির দুর্নীতি দমন আইন ও ডোপিংবিরোধী নীতিমালা ভাঙার দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন টেলর। সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে এবার তিনি ফিরলেন সম্পূর্ণ নতুন রূপে, মিডল অর্ডারের বদলে এই ম্যাচে খেলছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে।
২০০৪ সালের ৬ মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল টেলরের। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সক্রিয় টেস্ট খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে আগে অভিষিক্ত হওয়া ক্রিকেটার। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স এখন ২১ বছর ৯৩ দিন, যা ইতিহাসে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারধারীদের মধ্যে ১২তম। তার আগে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল ব্রায়ান ক্লোজ, শচীন টেন্ডুলকার ও সিড গ্রেগরির ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়েছিল কেবল মাঠের কারণে, বাইরের কোনো কারণ ছাড়া।
এই ম্যাচে ফেরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমকে পেছনে ফেলেছেন টেলর। জিমি অ্যান্ডারসনের অবসরের পর বর্তমানে খেলে যাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল মুশফিকের, ২০ বছর ৩৩ দিন।
এদিকে সবচেয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডটি এখনও দখলে রয়েছে ইংল্যান্ডের উইলফ্রেড রোডসের। তবে তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়েছিল মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে। অন্যদিকে ব্রায়ান ক্লোজের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়েছিল দলে আসা–যাওয়ার কারণে। ১৯৪৯ সালে অভিষেকের পর ইংল্যান্ড দলে থিতু হতে পারেননি, কিন্তু ১৯৭৬ সালে ৪৫ বছর বয়সে আবার ফিরেছিলেন।
আরেক ব্যতিক্রমী নাম জন ট্রাইকোস, যিনি খেলেছেন আফ্রিকার দুই দেশের হয়ে হয়ে। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেকের পর বর্ণবাদের কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। পরে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেন এবং ২২ বছর ২২২ দিন পর টেস্টে ফেরেন ১৯৯২ সালে, ভারতের বিপক্ষে।
টেলরের ফেরা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্যও বড় এক মুহূর্ত। দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার পর তার প্রত্যাবর্তনের দৃষ্টান্ত অনেক তরুণ খেলোয়াড়েরকে অনুপ্রাণিত করবে।