বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বৈঠক হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে তাদের বৈঠক হয়। সাক্ষাতে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, যা পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন গতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে এটি ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চতুর্থ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন। তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে, তারা অদূর ভবিষ্যতে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং পারস্পরিক বিনিময় বাড়াতেও সম্মত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির ঢাকা সফর ছিল এই সম্পর্কের উষ্ণতার আরেকটি বড় ধাপ। এই সফরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন তিনি। উভয় পক্ষ কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে পৌঁছেছে। এটিকে ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই গাজায় গুরুতর মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের অটল সংহতি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সংক্রান্ত চলমান সম্মেলন থেকে অর্থবহ ফলাফলের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।