ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা আজ দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। বাদ যোহর হাদির জানাজা অনুষ্কেঠিত হবে। এজন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে আাইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ এই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন ৮৭০ জন আনসার।
শনিবার সকালে সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হওয়া ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওসমান হাদির জানাজার নিরাপত্তায় থাকবে তিন শ্রেণির আনসার বাহিনী। এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার ও টিডিপি স্বেচ্ছাসেবক। এর বাইরে পরিচালক থাকবে ৪ জন, ডেপুটি পরিচালক থাকবে ৭ জন এবং উপজেলা আনসার বিডিপি কর্মকর্তা থাকবে ১২ জন।
সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালন মো. আইয়ুব আলী ঢাকা জানান, , আজকে ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমাদের ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবেন ২৭০ জন, অঙ্গীতভূত আনসার থাকবেন ৪০০ জন এবং টিডিপি স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ২০০ জন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো সংসদ ভবনের পূর্ব পাশের মাঠকে নিরাপদ রাখা। যাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো ঘটনা না ঘটে এবং জনসাধারণ দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। সেদিন রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এর অংশ হিসেবে আজ সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাদি মাধায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে তিনি মারা যান।