সময়ের জনমাধ্যম

দল নিয়ে সন্তুষ্ট কাবরেরা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়ার আগে দল নিয়ে খুব একটা প্রত্যাশার কথা বলেননি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শুধু ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। আবার দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অবস্থানও খুব একটা আশা জাগানিয়া ছিলো না। তবে মাঠে দুর্দান্ত লড়াই করে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ফুটবল খেলেছে তাতে চোখ কপালে উঠাটাই স্বাভাবিক। আর দলের এমন উজ্জ্বীবিত পারফর্ম্যান্সে খুশি হাভিয়ের কাবরেরা।

এবারের সাফে বাংলাদেশ তাদের যাত্রা শুরু করেছিল অতিথি দল লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। সে ম্যাচের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষুন্ন রাখলেও, শেষ দিকে এসে নিজেদের ভুলে পা হড়কায় বাংলাদেশের। তবে ভূটান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দুটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জালে ৩টি করে গোল দেয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়েও কুয়েতকে আটকে রাখতে সমর্থ হয়েছিলো জিকো-বিশ্বনাথরা। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে গোল হজম করায় খালি হাতে বাড়ি ফিরেছে জামাল ভূইয়ারা।

শিষ্যদের এমন লড়াকু মনোভাবে তৃপ্তি ঝরেছে কোচের কণ্ঠে। দেশে ফিরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাবরেরা বলেন, ‘র‍্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে আমরা ভালো দল আমরা। সামগ্রিকভাবে দলের পারফরম্যান্স অনেক ইতিবাচক। আর এটাই এ বছরের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের উদ্দীপ্ত করবে।’

দলের তরুণ ফুটবলারদের পারফর্ম্যান্সেও খুশি ৩৮ বছর বয়সী এই কোচ। বলেন, ‘মোরছালিন, ফাহিম, হৃদয়, জনি, রবিউলরা ভালো খেলেছে। আমরা ভাগ্যবান যে কিছুটা প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল আমার হাতে। সামনের দিনগুলোতে ওরা আরো সেরাটা বের করে আনবে।’

কাবরেরা অধীনে বাংলাদেশ ১৫টি ম্যাচ খেলে জিতেছে ৫টিতে। যার ৪টিই এসেছে এবছর। ২টি ড্র বিপরীতে হার ৮ ম্যাচে। সামনের দিনগুলোতে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান কাবরেরা। সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডো, অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এশিয়ান গেমসে ভালো করাই এখন লক্ষ্য বলে জানান তিনি।