তোশাখানা–২ মামলায় কারাদণ্ডের রায়ের পর পাকিস্তানজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এছাড়াও তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন রোববার এ খবর জানিয়েছে।
কারাগারে থাকায় ইমরান খান সরাসরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারছেন না। তবে তার আইনজীবী এক্স-এ কথোপকথনের একটি বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে ইমরান খান বলেন, 'আমি খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকে রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বার্তা পাঠিয়েছি। নিজেদের অধিকারের জন্য পুরো জাতিকে জেগে উঠতে হবে।'
ইমরান বলেন, এই রায় তার জন্য বিস্ময়কর নয়। তার দাবি, কোনও প্রমাণ ছাড়াই আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ না করে তড়িঘড়ি করে এই রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার আইনজীবীদের বক্তব্যও শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এক বিবৃতিতে এই সাজাকে 'অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিকৃষ্ট উদাহরণ' বলে উল্লেখ করেছে। তাদের দাবি, এই রায়ের উদ্দেশ্য ইমরান খানের কারাবাস দীর্ঘায়িত করা।
পিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক সালমান আকরাম রাজা জানান, আদালত কক্ষে ইমরান খানের সঙ্গে তার প্রধান আইনজীবীর সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে ইমরান খান বলেন, তিনি দৃঢ় ও অবিচল আছেন এবং কারো কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
এদিকে ইমরান খানের বোন আলিমা খান এই রায়কে 'পূর্বলিখিত স্ক্রিপ্টের' অংশ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর নতুন রায় ঘোষণার এই ধারা আর মেনে নেওয়া হবে না।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা-২ মামলায় গতকাল শনিবার ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
২০২১ সালের মে মাসে ইমরান খানের সৌদি আরব সফরের সময় যুবরাজের কাছ থেকে পাওয়া অত্যন্ত মূল্যবান একটি জুয়েলারি সেট আত্মসাৎ ও নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রির দায়ে তাদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে।