তুরস্কে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান হাদ্দাদের মৃত্যু

তুরস্কে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে উড্ডয়ন করা একটি ফ্যালকন ৫০ উড়োজাহাজে জেনারেল হাদ্দাদসহ আরও চারজন আরোহী ছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আঙ্কারা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের প্রায় ৪২ মিনিট পর স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫২ মিনিটে ওই বিজনেস জেটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ত্রিপোলিগামী জেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল। পরে আঙ্কারার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
এক্সে দেওয়া আরেক পোস্টে ইয়ারলিকায়া লেখেন, হায়মানা জেলার কেসিক্কাভাক গ্রামের কাছে পুলিশ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তী অগ্রগতির বিষয়ে জনসাধারণকে জানানো হবে।
লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি’র (জিএনইউ) প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবাহ জানান, জেটে থাকা জেনারেল হাদ্দাদসহ লিবিয়ার অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী একে জাতির জন্য ‘বড় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করে বলেন, লিবিয়া ‘এমন মানুষদের হারাল, যারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশসেবা করেছেন।’
জেনারেল হাদ্দাদ ও তার দল দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য তুরস্কে ছিলেন।
২০১৯ সালে ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকাতে হস্তক্ষেপের পর থেকে লিবিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা ক্রমেই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দেশটি রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।


















