সময়ের জনমাধ্যম

তিস্তায় পানি কমেছে, নেই বন্যার আশঙ্কা

গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭৬ মিটার যা বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে।

এদিকে, লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে নদীর পানি। আপাতত তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যা আল মামুন বলেন, ‘কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে থাকায় সব নদ-নদীর পানি দ্রুত কমছে।’ ‘আপাতত কুড়িগ্রাম বন্যা পরিস্থিতির কোন আশঙ্কা নেই,’ বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘লালমনিরহাটে তিস্তাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তিস্তাপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে যাচ্ছে।’ পানি কমে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ে ভাঙন পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর গ্রামের কৃষক সুবল চন্দ্র বর্মণ (৬০) বলেন, ‘বাড়ি-ঘর থেকে নদীর পানি নেমে গেছে। তবে ক্ষেতের ফসল এখনো পানির নিচে।’ বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙন পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার অপর এক কৃষক সোহরাব আলী (৬৫) জানান, ‘বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তিস্তাপাড়ে আমন খেত এখনো পানির নিচে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পানি না নামলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।’