বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৯ আগস্ট) ডক্টরস অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তৃতায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক হিংসার যে কালচার তৈরী করা হয়েছে তা আমাদের ধ্বংস করেছে, আমাদের এ কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’ দেশের চিকিৎসকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসকরা উপমহাদেশে সেরা, সমস্যা সিস্টেমে।’

সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল দেশের ওষুধ শিল্পে ভয়াবহ সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য শিল্পের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করি। তবে বর্তমানে যারা ওষুধ বানাচ্ছেন তারা বলছেন, এই খাতের এতই ভয়াবহ অবস্থা যে, ওষুধ তৈরির ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপদেষ্টার কিছু অযৌক্তিক নিয়মনীতির কারণে এই শিল্প ধ্বংসের পথে এবং অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব তার দলের পক্ষ থেকে দেওয়া ৩১ দফার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে এই জাতির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দফাগুলো রয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখযোগ্যভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’