পাকিস্তানের দেওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার প্রতি পাকিস্তানের স্বীকৃতি, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমিয়ে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত ঠেকানোর ক্ষেত্রে তার অবদানকে সম্মান জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সম্প্রতি ট্রাম্পকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রার্থী করার ঘোষণা দেন। তিনি ট্রাম্পকে ‘সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যিনি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন।

শুধু পাকিস্তান নয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পের পক্ষে শান্তিতে নোবেল মনোনয়ন দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজের সময় তিনি নোবেল কমিটির উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি ট্রাম্পের হাতে তুলে দেন।
নেতানিয়াহু ওই চিঠিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে ট্রাম্পের অবদানের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’-এর মাধ্যমে ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘স্বল্প সময়ে এত বড় কূটনৈতিক অর্জন খুব কম নেতাই করতে পেরেছেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের মতো আর কেউ এখন নোবেল শান্তি পুরস্কারের এতটা উপযুক্ত নন।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই মনোনয়নগুলো ট্রাম্পের বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।