ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই পক্ষ নীতিগতভাবে বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত করেছে এবং এ আলোচনা হতে পারে “কয়েক দিনের মধ্যেই”। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।
গতকাল (৬ আগস্ট) মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলো।
এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো। এর আগে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতের কোনো সমাধান এখনো হয়নি। মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে কয়েক দফা সরাসরি আলোচনা হলেও যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আবারো ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা আশার সঞ্চার করছে।
বুধবার ট্রাম্প নিজে ইঙ্গিত দেন যে তিনি “খুব শিগগিরই” পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে পারেন। এর একদিন পরই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বৈঠকের ঘোষণা আসলো। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাগুলোকে ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, ‘মার্কিন পক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী, দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মতি হয়েছে। আমরা এখন আমাদের আমেরিকান সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে বিস্তারিত বিষয়গুলো নির্ধারণ করছি।’
যদিও বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত হয়েছে বলে ক্রেমলিন জানালেও নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। উশাকভ জানান, পরবর্তী সপ্তাহকে লক্ষ্য করে বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে রাশিয়া। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও রাশিয়ান পক্ষ এতে কোনো সাড়া দেয়নি। এর ফলে, ট্রাম্পের এই বৈঠক কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে সত্যিকারের শান্তি আনতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।