ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে এবার দৃশ্যমান ভূমিকা নিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো আগের বৈঠকের তুলনায় এবার অনেক বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছে-যা কূটনৈতিকভাবে তাদের জন্য স্বস্তির খবর।
আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকটি হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে। তবে কিয়ার স্টারমারসহ অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা আশা করছেন, তাদের উপস্থিতি একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে যে ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের সময় যুক্তরাজ্যে স্টারমারের জন্য পরিস্থিতি ছিল কঠিন। সেই সময় থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ঘনিষ্ঠভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছেন এবং ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিকে কূটনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে সচেষ্ট ছিলেন।
তবে এটি কেবল প্রতীকী উপস্থিতি নয়। স্টারমার গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে মনোযোগী ছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে তার ওয়াশিংটন সফর ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ, আর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক স্কটল্যান্ড সফরও একই ভাবেই কূটনৈতিক বন্ধন দৃঢ় করেছে।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের পাশাপাশি, স্টারমারকেই বর্তমানে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডাউনিং স্ট্রিটের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকে স্টারমারের উপস্থিতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং তিনি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে সেতুবন্ধনকারী হয়ে উঠতে পারেন।