ট্রাম্প-জেলেনস্কি দীর্ঘ ফোনালাপ, বৈঠক করতে ওয়াশিংটন যাবেন জেলেনস্কি


আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক ঘণ্টার এই একান্তে ফোনালাপের পর জেলেনস্কি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। জেলেনস্কি টেলিগ্রাম বার্তায় এই আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসের এক ব্যর্থ বৈঠকের পর ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য ইউক্রেনের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে এই পদক্ষেপকে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার পর ট্রাম্প ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেন নিশ্চিত করেছে, প্রথমে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছে এবং পরে ইউরোপীয় নেতারা তাতে যোগ দেন।
আলাস্কার সম্মেলনে ট্রাম্প ও পুতিনের আলোচনায় জেলেনস্কি উপস্থিত ছিলেন না। ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা সফল হলে তিনি দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য জেলেনস্কিকে ডাকবেন।
জেলেনস্কি এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘দীর্ঘ ও বাস্তবসম্মত’ কথোপকথন হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন এবং পরে ইউরোপীয় নেতারা যৌথভাবে এই আলোচনায় যোগ দেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তিনি জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের ফোনালাপে যুক্ত ছিলেন। পরে কিয়ের স্টারমার দ্বিতীয়বারের মতো জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন, তবে ট্রাম্প সেই কলে যোগ দেননি।
আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাদ পড়ায় ইউক্রেনীয়রা গভীরভাবে অসন্তুষ্ট ছিল। জেলেনস্কি তার বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছেন, পরবর্তী আলোচনার জন্য তিন নেতারই উপস্থিত থাকা উচিত। তিনি ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে’ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিটি পর্যায়ে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প পুতিনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন, তাই ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।