ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার ঐতিহাসিক চুক্তি


দীর্ঘ কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এই চুক্তিতে সই করার পর একে অপরকে করমর্দন করেন। ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি এমন এক সময়ে হলো, যখন নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাম্প বলেন, দুই দেশ ‘চিরতরে’ সব ধরনের যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ভ্রমণ, ব্যবসা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে।
চুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, আজারবাইজান ও তার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নাখিচেভানকে সংযুক্ত করতে একটি নতুন পরিবহন করিডর নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে। এই রুটটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ট্রাম্প রুট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’। এটি আর্মেনিয়ার ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাবে, যা অতীতের আলোচনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ইলহাম আলিয়েভ এই চুক্তিকে ‘বিস্ময়কর কাজ’ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প ও তার দলের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান এটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেন।
এই চুক্তি ককেশাস অঞ্চলে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে এই অঞ্চলের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাশিয়াকেই দেখা হতো, এবং সর্বশেষ শান্তিচুক্তিটি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্যোগেই হয়েছিল।