ট্রাম্পের দূতের হাতে ‘অর্ডার অব লেনিন’ তুলে দিলেন পুতিন


মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ছেলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তার মরণোত্তর সম্মাননা হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ পুরস্কার দিয়েছেন। এটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যেন তিনি পুরস্কারটি ওই কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএস সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য মস্কো সফর করেন। সেখানেই পুতিন তার হাতে সোভিয়েত আমলের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কারটি তুলে দেন। এই পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়। তবে ক্রেমলিন বা রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেউই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে সিআইএর ডিজিটাল উদ্ভাবন-বিষয়ক উপপরিচালক জুলিয়েন গ্যালিনার ২১ বছর বয়সী ছেলে মাইকেল গ্লসকে। গ্লস গত বছর ইউক্রেনে নিহত হন। তার মৃত্যুর পর সিআইএ এক বিবৃতিতে জানায়, গ্লস মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার মৃত্যুর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সূত্র জানায়, গ্লস কখনো সিআইএর কর্মী ছিলেন না।
২০২৩ সালের শরৎকালে গ্লস রুশ বাহিনীতে যোগ দেন। সেসময় ক্রেমলিন সম্ভবত তার পারিবারিক পরিচয় জানত না। গ্লস তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করতেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করতেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলতেন।
গ্লসের বাবা ল্যারি গ্লস, যিনি নিজেও একজন ইরাক যুদ্ধের সৈনিক, ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যখন তাকে দেশে ফেরানোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, কেউ ওখানে (মস্কোতে) হিসাব মেলাতে গিয়ে না জানি জেনে ফেলে যে তার মা কে। তাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।’