শিক্ষককে অপমান ও অসদাচরণ করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরারা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানারকম স্লোগান দেন।
কর্মসূচি অংশ নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমরা যখন কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে তার দপ্তরে যাই তখন তিনি আমাদের সঙ্গে সহানুভূতির পরিবর্তে বিরূপ এবং অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে নয় আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই জুলাই পরবর্তী সময়ে এ রকম স্বৈরাচারী আচরণ মেনে হওয়া হবে না। তিনি যদি স্বৈরাচার হয়ে উঠতে চান তাহলে তার অবস্থা ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু রায়হান সিদ্দিক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর শর্তানুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের বাজে আচরণের শিকার হন। ওই শিক্ষককে বার বার অবজ্ঞা করা, দ্রুত করতে গেলে আরও দেরি হবে, লাঞ্চের অজুহাত দিয়ে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলা, স্বাক্ষর করার জন্য এখানে বসে নেই, এমন নানাভাবে হেনস্তা করেন রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদ।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আবু রায়হান সিদ্দিক বলেন, ‘ইউজিসি থেকে আমাকে দ্রুততম সময়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। আশা করেছিলাম এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে গেলে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাক্ষর করে দিবেন। এরপরও কয়েক দফায় সারাদিন ঘুরে যখন ওনার স্বাক্ষরের জন্য শেষবার যাই আবার কেন গিয়েছি জানতে চেয়ে তিনি লাঞ্চ করবেন বলে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার এমন ব্যবহারে খুবই হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। এমন দায়িত্বশীল পদে থেকে কারো সঙ্গে এমন ব্যবহার করা সমীচীন নয়।’
এর আগে রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক হেনস্তার, অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সংবাদের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে মন্তব্য নিতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণ করেন তিনি।