চীনে পাচার ঠেকাতে চিপ চালানে গোপনে ট্র্যাকার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


উন্নতমানের এআই চিপ অবৈধভাবে চীনে পৌঁছানো ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক কৌশল নিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ করেছেন সরাসরি সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি।
তাদের মতে, উচ্চঝুঁকির কিছু চালানে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গোপনে লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসাচ্ছে। এসব ট্র্যাকার দিয়ে চালানের গতিপথ নজরে রাখা হচ্ছে, যাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়।
এই নজরদারি কৌশল মূলত সেইসব সার্ভার চালানে প্রয়োগ হচ্ছে, যেখানে এনভিডিয়া (Nvidia) বা এএমডি (AMD)-এর মতো কোম্পানির উন্নতমানের চিপ রয়েছে। সরবরাহ চেইনের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, ট্র্যাকারগুলো অনেক সময় প্যাকেজিংয়ের ভেতরে বা সার্ভারের মধ্যেও লুকিয়ে রাখা হয়। বড় ট্র্যাকার স্মার্টফোনের আকারের হলেও, ছোটগুলো চোখে পড়ার মতো নয়।
২০২৪ সালের এক ঘটনায় ডেল (Dell) সার্ভারের চালানে একসঙ্গে বড় এবং ছোট—দুই ধরনের ট্র্যাকার পাওয়া যায়। চীনা রিসেলাররা বলছে, তারা নিয়মিত চালান পরীক্ষা করে এমন ডিভাইস খুঁজে বের করে, কারণ ধরা পড়লে আইনি ঝুঁকি থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি সাধারণত এসব কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করে। পাশাপাশি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস এবং এফবিআই-ও এর সাথে যুক্ত থাকে। যদিও এসব সংস্থা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
চীন অবশ্য শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাকে ‘উদীয়মান শক্তি দমন করার কৌশল’ বলে সমালোচনা করছে। সম্প্রতি বেইজিং এমনকি এনভিডিয়াকে ডেকে পাঠিয়ে চিপে ‘ব্যাকডোর’ থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যা কোম্পানিটি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সাল থেকে উন্নতমানের এআই চিপ চীনে বিক্রি সীমিত করেছে। ওয়াশিংটন মনে করে, যেকোনো মূল্যে চীনের সামরিক আধুনিকায়ন ঠেকাতে হবে; আর এজন্য প্রয়োজন হলে গোপন ট্র্যাকার বসানোসহ যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত ট্রাম্প প্রশাসন।