২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রবাসেও ছড়িয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই আন্দোলেনর সাথেন একাত্মতা ঘোষণা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও ছিলেন আন্দোলনে সহযাত্রী।
ওই সময়ে তাদের অনেকেই অর্থ পাঠিয়েছেন। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, কেউ দূতাবাস বা শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন, ব্যানার বানিয়েছেন, প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা চালিয়েছেন সচেতনতা বৃদ্ধির ক্যাম্পেইন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও মিডিয়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
তবে আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে যখন তাদের অবদানকে আলাদা করে কোথাও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব কাঠামোতে প্রবাসীদের সরাসরি অংশগ্রহণ না থাকলেও অনেক প্রবাসী শিক্ষার্থী নেতৃত্ব দেন নিজেদের জায়গা থেকে। তাদের বেশিরভাগই কোনো রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র না হয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিলেন। তারপরও তাদের অবদানের স্বীকৃতি না থাকার বিষয়টিকে তারা অবজ্ঞা হিসেবে দেখছেন।
তারা বলছেন, এই অবজ্ঞা শুধু ইতিহাসের প্রতি অবিচার নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি বিপজ্জনক বার্তা। কারণ, পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ বাংলাদেশি যদি মনে করেন- তাদের সংগ্রাম কখনোই স্বীকৃতি পায় না, তাহলে তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকটে অংশ নিতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়বেন।