গাজা দখলের মিশনে ট্রাম্পকে পাশে পাচ্ছেন নেতানিয়াহু ; পাল্টে গেল যুদ্ধের কৌশল


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখল করার এবং সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করার এক ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সবুজ সংকেত’ মিলেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই চাঞ্চল্যকর খবর জানিয়েছে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ দৈনিকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখল করতে যাচ্ছি। যেসব এলাকায় জিম্মিদের আটক রাখা হয়েছে সেখানেও অভিযান চালানো হবে। যদি আইডিএফ (সেনাবাহিনী) প্রধান একমত না হন, তাহলে তার পদত্যাগ করা উচিত।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজার যুদ্ধ কৌশলে এক বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এখন থেকে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় শরণার্থী শিবিরগুলোতেও অভিযান চালানো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন জানিয়েছে, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হামাসকে পুরোপুরি পরাজিত করার জন্য তিনি ‘এই উপত্যকা দখল’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ দাবি করেছে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে এই বর্ধিত আক্রমণের জন্য সমর্থন দিয়েছেন। এর ফলে ইসরায়েল আংশিক জিম্মি মুক্তির প্রায় চূড়ান্ত চুক্তি থেকে সরে এসেছে। একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই পদক্ষেপকে ‘চুক্তির সুযোগ নষ্ট করা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, নেতানিয়াহুর সরকার খুব দ্রুত বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পর যুদ্ধবিরতি আলোচনার গতিপথ পাল্টে গেছে। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, সামরিক অভিযান বৃদ্ধির চাপের কারণে জেনারেল স্টাফের প্রধান ইয়াল জামির তার ওয়াশিংটন সফর বাতিল করেছেন। একই সময়ে হারেটজ জানিয়েছে, গাজার কিছু অংশ পুনরায় দখলের জন্য মার্কিন-অনুমোদিত একটি পরিকল্পনা নেতানিয়াহু ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার কাছে উপস্থাপন করেছেন।