হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে লাল-সবুজ বাসে করে একটি ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলীয় ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তিনি গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে রওনা হন। তার সঙ্গে রয়েছেন সফরসঙ্গী ও দলের সিনিয়র নেতারা।
তারেকের গাড়ি বহর বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাবার পথে তার বাসকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সেনা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি সামনে-পেছনে রয়েছে। দুই পাশে হেঁটে হেঁটে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চলছেন। গাড়ি বহর চলছে ধীর গতিতে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চারপাশে নজর রাখার পাশাপাশি সড়কের দুই পাশে থাকা কর্মী সমর্থকদের গাড়ি বহর থেকে দূরে রাখছেন।
সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা সেরে তারেক রহমান যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে সেখানে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার থেকে তিনি যাবেন গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে। এর পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৬ নম্বর বাড়িটি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরে তার সহধর্মিনী খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভা। মাস কয়েক আগে এ বাড়ির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
তারেক রহমানের পুরো বহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তার সঙ্গে ছুটছেন দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরাও। বাসের সামনে থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সাড়া দেন তারেক রহমান। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটের তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। তারা বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট থেকে নামেন। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।