সময়ের জনমাধ্যম

ক্লাব বিশ্বকাপে মেসির প্রতিপক্ষ পিএসজি, অপেক্ষা ‘প্রতিশোধের’

বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামের দিকে। ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হচ্ছে ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি। এই ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনার অন্যতম কারণ, লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হওয়া।

বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১০টায় শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আবেগ, প্রতীক্ষা এবং ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। একদিকে ইউরোপিয়ান পরাশক্তি পিএসজি, অন্যদিকে মেসির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি।

২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছরের জন্য পিএসজিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। তবে সেই সময়টা তার জন্য সুখকর ছিল না। বিশ্বকাপ জয়ের পর ফরাসি ক্লাবে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পাওয়া, সৌদি সফর ঘিরে নিষেধাজ্ঞা এবং সমর্থকদের দুয়ো, সব মিলিয়ে পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে জমেছিল তিক্ততা।

এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, ‘আমি ছিলাম একমাত্র খেলোয়াড়, যাকে বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্লাব কোনোভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।’ এই প্রেক্ষাপটে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে মেসির মাঠে নামায় যুক্ত হচ্ছে বাড়তি উত্তেজনা। প্রতিপক্ষ ডাগআউটে থাকবেন বার্সায় তার সাবেক গুরু কোচ লুইস এনরিকে, যিনি বর্তমানে পিএসজির দায়িত্বে আছেন।


রিইউনিয়ন বনাম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ

ইন্টার মায়ামিতে বর্তমানে আছেন মেসির বার্সেলোনার তিন সাবেক সতীর্থ—লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেটস এবং জর্দি আলবা। এছাড়াও অভিজ্ঞদের সঙ্গে আছেন তরুণ খেলোয়াড় বেনজামিন ক্রেমাসচি ও নোয়া অ্যালেন, যারা এই প্রথম ইউরোপের কোনো বড় ক্লাবের বিপক্ষে খেলবেন। পিএসজির স্কোয়াডে রয়েছেন কভিচা কভারাতসখেলিয়া, ওসমান দেম্বেলে ও উগার্তে। দলটির কোচ লুইস এনরিকের কৌশলও আলাদাভাবে নজর কেড়েছে এবারের মৌসুমে।


‘স্বপ্ন দেখতেই মাঠে নামি’—আলবা

ম্যাচের আগে জর্দি আলবা বলেন, ‘পিএসজি হয়তো কাগজে-কলমে আমাদের চেয়ে ভালো দল। কিন্তু ফুটবলে তো কিছুই নিশ্চিত নয়। আমরা স্বপ্ন দেখতে চাই, এটাই আমাদের শক্তি।’ ইন্টার মায়ামি এবার ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাস, আল আহলি ও পোর্তোর মতো দলকে মোকাবেলা করে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে। ক্লাবটির কোচ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো বলেন, ‘ফুটবল সবসময় কেবল শক্তির খেলা নয়। কম শক্তিশালী দলও যদি সংগঠিত থাকে, তবে চমক দেখানো সম্ভব।’


প্রতীক্ষায় এক ঐতিহাসিক ম্যাচ

রোববারের ম্যাচটি সাধারণ শেষ ষোলোর লড়াই নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে লিওনেল মেসির ব্যক্তিগত অধ্যায়ের অংশ, যেখানে পুরোনো ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ, অভিমান এবং নতুন করে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ।