সময়ের জনমাধ্যম

কোহলির অপক্ষোর প্রহর শেষ, হাতে সাধের আইপিএল শিরোপা

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সবই জিতেছেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি-২০ বিশ্বকাপ কিছুই বাদ যায়নি। বাকি ছিল শুধু ঘরের আইপিএল শিরোপাটি। ১৭ বছর রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলে তিনবার ফাইনাল গেলেও অধরা ছিল সাধের আইপিএল শিরোপা। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার পাঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে প্রথমবার অধরা ওই শিরোপা নিয়ে উল্লাসে মাতলো কোহলির বেঙ্গালুরু।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু নয় উইকেটে ১৯০ রান তোলে। বিরাট নিজে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৮ বলে ২৪ রান ও রজত পতিদার ১৬ বলে ২৬ রান করেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৫ বলে দুই ছক্কায় ২৫ ও জিতেশে শর্মা ১০ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান যোগ করেন। রোমারিও শেইফার্ড নয় বলে তোলেন ১৭ রান।

জবাবে পাঞ্জাব সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানে গিয়ে আটকে যায়। দলটির টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সেট হয়ে ফিরে যান। ওপেনার প্রিয়াংশি আরিয়া ১৯ বলে ২৪ ও প্রবসিমরান সিং ২২ বলে ২৬ করে আউট হন। তিনে নামা জস ইংলিশ ২৩ বলে ৩৯ রান যোগ করেন।

 পাঞ্জাবকে শিরোপার পথে টানছিল শশাঙ্ক সিং। তিনি ৩১ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ছয়টি ছক্কা ও তিনটি চার মারেন শশাঙ্ক। কিন্তু নামান ওধেরার ব্যর্থতায় হেরেছে পাঞ্জাব৷ তিনি ১৮ বল খেলে ১৫ রান করে দলকে বিপদে ফেলেন।

পাঞ্জাব এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইপিএল ফাইনাল খেললো। ১১ বছর আগেও প্রীতি জিনতার দলের স্বপ্নভঙ্গ হয়। ফাইনালে উপস্থিথ থেকে বেঙ্গালুরু ও কোহলির প্রথম আইপিএল শিরোপা উদযাপন উপভোগ করেন দলটির সাবেক তারকা সাউথ আফ্রিকান এবি ডি ভিলিয়ার্স।