কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় (স্কারবরো ক্যাম্পাস)–সংলগ্ন এলাকায় ২০ বছর বয়সী এক ভারতীয় শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম শিবাঙ্ক অবস্তি। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। তাকে ধরতে জনসাধারণের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলেছে, অবস্তির হত্যাকাণ্ড চলতি বছরে টরন্টোয় ৪১তম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৩৪ মিনিটে হাইল্যান্ড ক্রিক ট্রেইল ও ওল্ড কিংস্টন রোড এলাকায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে শিবাঙ্ককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের বিবৃতিতে জানা গেছে, ‘তারা পৌঁছানোর আগেই সন্দেহভাজন হামলাকারী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।’ তদন্তের স্বার্থে প্রত্যক্ষদর্শী বা কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তরুণ এই মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টরন্টোয় অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল এক বার্তায় জানিয়েছে, তারা নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে এবং মরদেহ দেশে ফেরানোসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে।
শিবাঙ্ক অবস্তির হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক সপ্তাহ আগেই টরন্টোয় হিমাংশি খুরানা (৩০) নামের এক ভারতীয় নারী খুন হন। গত শনিবার স্ট্র্যাচান অ্যাভিনিউ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হিমাংশি নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পরই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩২ বছর বয়সী আবদুল গাফুরি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হিমাংশি ও আবদুল গাফুরি পূর্ব পরিচিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। পরপর দুই ভারতীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
টরন্টো পুলিশ ও ভারতীয় কনস্যুলেট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘটনা দুটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।