সময়ের জনমাধ্যম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকাবাসীর জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন করবে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সুধী সমাবেশে বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর সঙ্গে সারা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি নতুন উপহার আজকে আপনাদের জন্য দিয়ে যাচ্ছি। যেটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক। আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাওলার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। আপনাদের জন্য এই উপহার দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এটি ঢাকার যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না।

বর্ণিল সাজ আর আবহে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

তিনি বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি আমরা, এরপর জনগণের সেবা করতে শুরু করি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করব সেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বছর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, সবকিছু আমরা উন্নত করেছিলাম। এরপর আবার চক্রান্ত, ২০০১ থেকে ২০০৮। ২৯টা বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, কী দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে তারা। কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু নিজেরা লুট করেছে, আখের গুছিয়েছে।

এর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি আন্দোলন না করে বিএনপিকে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তারা ঘরে বসে এসিরুমে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি দেখে।

সুধী সমাবেশে আরও উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তরের সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।