বলিউডের পর্দায় তাকে আমরা দেখেছি কখনো হিরো, কখনো খলনায়ক হিসেবে। আবার ছোট পর্দায় ‘আদালত’ ধারাবাহিকের মতো জনপ্রিয় সিরিজে তাকে দেখেছে দর্শক অন্য রূপে- এক দৃঢ়চেতা আইনজীবী হিসেবে। তিনি রোনিত রায়। কিন্তু রূপালি পর্দার এই তারকার জীবনের সূচনাটা ছিল একেবারে অন্যরকম। ছিল অভাব, অনিশ্চয়তা আর বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
সম্প্রতি সম্প্রতি ‘হিন্দি রাশ’ পডকাস্টে নিজের জীবনের অজানা কিছু গল্প তুলে ধরেন রোনিত। বলেন, ‘বলিউডে কাজ শুরু করলেও শুরুটা সহজ ছিল না। ১৯৯২ সালে ‘জান তেরে নাম’ ছবি দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলাম, কিন্তু ছবিটা চলেনি। তারপর শুরু হয় নীরবতা, কাজের জন্য অপেক্ষা। এমন এক সময় গিয়েছে, যখন পকেটে ছিল সামান্য কিছু টাকা, তাও পুরো খাবার কেনার মতো না।’

পেটের তাগিদে যেতেন এক ছোট ধাবায়। রোনিত বলেন, ‘সেদিন পকেটে যা ছিল, তাতে শুধু পেঁয়াজই কেনা সম্ভব। ধাবায় গিয়ে বলি, শুধু একটু পেঁয়াজ দিন। ধাবার মালিক আমার অবস্থা বুঝে বিনা পয়সায় এক বাটি ডাল দিলেন। বললেন, “আজ আপনার ডাল খাওয়ার দিন।” সেই এক বাটি ডাল খেয়ে আমি আনন্দে চোখ ভিজিয়ে ফেলেছিলাম।’
এই গল্প শুধু একজন অভিনেতার নয়, একজন মানুষের- যিনি জীবনের রুক্ষ সময়ে সংগ্রাম করে এগিয়েছেন। রোনিত বলেন, ‘কেন আমার ক্যারিয়ার শুরুতেই জমেনি, জানি না। এক সময় অনেক ভেবেছি। কিন্তু আমি নিজের জগতে থাকতাম, কারও কাছে কাজ চাইতাম না। হয়তো সে কারণেই সুযোগ পেতে দেরি হয়েছে।