বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের চত্বরের ভেতরে আছড়ে পড়ে। প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হয়েছেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো: তৌকির ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ক্লাস শেষ হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভবনটিতে আগুন লেগে যায়।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খরব পাওয়া গেছে। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৩ জনকে নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। তবে তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাসদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন।
আইএসপিআর জানায়, বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল।
মাইলস্টোন কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষক জানান, ঘটনার সময় তিনি কলেজের ১০ তলা ভবনের নিচে ছিলেন। দুপুর ১টার কিছু সময় পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা সেখানে আটকা পড়েন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে ছুটে যান। কিছু সময় পরেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসেন। পরে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরাও উদ্ধার অভিযানে যোগ দেন।
ওই শিক্ষক জানান, তিনি নিজেও একজন আহত শিক্ষার্থীকে ভবনটি থেকে বের করে আনেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও একজন নারী শিক্ষককে দগ্ধ অবস্থায় দেখেছেন।